NTN BHARAT - News, Facebook Log, News, Media

দড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খান খান : Sumit Kumar

দড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খান খান : Sumit Kumar

চরিত্র"- শব্দটা ছোট হলেও যে কোন মানুষকে শীর্ষে তুলতে পারেআবার এই শব্দটার জন্য যে কোন মানুষ নিজের অস্তিত্বকে হারাতেও পারে। আর এইশব্দ টা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে সব থেকে বড় রোল পালন করছে অবনতির পথে। এই অবনতি কি শুধু পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে , নাকিপশ্চিমবঙ্গের বাহিরেও এর প্রভাব পড়তে পারেরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে সমালোচনা বস্তু আজ এই শব্দটা। সায়নী ঘোষ তৃণমূলের যাবার পর আজপ্রথমবার বিজেপিকে কটাক্ষ করে এটা বলার সাহস পেলেন যে বিজেপির দলে মধ্যে কোন মহিলা সেপ না। এতটা ঔদ্ধত্য দেখাতে পারলেন তিনি কীভাবেসেই নিয়ে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় তার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ নিয়ে তিনি কথাটা বলেছেন। বিজেপির দলীয় কোন্দল আজ মানুষের চোখে বিজেপি কে ছোটকরে তুলছে। বারবার এই প্রশ্ন উঠছে টিএমসির B team হিসেবে আজ শুভেন্দু অধিকারী কাজ করছেন। দিলীপ ঘোষ সুকান্ত মজুমদার শুভেন্দু অধিকারীতথাগত রায় সবাই সবার বিরুদ্ধে কেন কথা বলে। শুভেন্দু বিরোধী কথা বলে আজ হাওড়া পুরভোটের আগে বদল ঘটলো এতদিন ধরে বিজেপি করা সাহাবাবু। কিন্তু গতকাল থেকে তিনি প্রতিটি মিডিয়া মাধ্যমকে জানিয়েছেন শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তার এই পরিস্থিতি। দলেরপ্রতি তার কোন ক্ষোভ নেই। তিনি দেখতে চান যার জন্য তাকে দল ছাড়তে হলো সেই মানুষটা কত দিন বিজেপি-কে টিকিয়ে রাখতে পারে। করা চ্যালেঞ্জছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর সামনে সুরজিৎ। এদিকে তথাগত রায় বারবার অকথ্য ভাষায় এটা প্রমাণ করে দিচ্ছেন হাজারো একটা দোষ রয়েছেবিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটিতে। এই নিয়ে তাকে অনেক কটাক্ষ সহ্য করতে হচ্ছে। কিন্তু প্রকাশ্যে আশা বিজেপির এই দলীয় কোন্দল মানুষকে বিজেপিথেকে বিশ্বাস সরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। বিজেপিকে এখন ভুলে যেতে হচ্ছে বিরোধী দল হিসেবেপশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নিজেদের অস্তিত্ব টা। প্রত্যেকটা মানুষের কথা আজ হয়ে দাঁড়িয়েছে

            


 ছয় মাসের এক কন্যা ছিল নয় মাসে তার গর্ভ হল 11 মাসে তিনটি সন্তান তারে তোমরা বলবে কি"

ছয় মাসে তৈরি হল বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে , নয় মাসে তার পরিপূর্নতা পেল , 11 মাসে তিনটি সন্তান হলতিনটি সন্তানের নাম শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায়এবং সব্যসাচী এখনো মনে আছে 2021 এর ভোটের আগে বিজেপি বারবার যখন টিএমসি এমএলএ এমপি দের কে নিজের ঘরে ঢুকাচ্ছিলঠিক সেইসময় সংবাদমাধ্যমের সামনে বসে শতরূপ ঘোষ বলেছিলেন যে স্ত্রী নিজের স্বামীর সাথে গাদ্দারি করতে পারে সে তোমার সংসারকে কোন দিন ধরে রাখতেপারবে না। ঘটলো ঠিক সেটাই। এইজন্য বলে বিনা ডিভোর্সে পর স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করার স্বপ্ন দেখতে নেই। আর বিজেপি সেই স্বপ্নটাই বাস্তবায়িত করারজন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। ফলস্বরূপ 2021 এর ভোটের পর ঘরের সন্তান ঘরে ফিরে চলে গেল বা বলতে পারেন নিজের স্বামীর ঘরে চলে গেছে। ইন লিভিংরিলেশনে জড়িত বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে আদতে আর বিরোধিতা কোনদিন করতে পারবে কিনা সন্দেহের তালিকা ভুক্ত। আমরা পাখিদের দেখেছিএডাল থেকে ওই ডাল এই গাছ থেকে ওই গাছ ঘুরে বেড়াতে। বিজেপি পাখিদের নিয়ে সংসার পাতার স্বপ্ন দেখেছিল। সেই স্বপ্ন আজ ভেঙ্গে চুরমার। হয়তোআরও চুরমার হবে সুকান্ত বা দিলিপের কথা অনুযায়ী যদি সুভেন্দু অধিকারি বিজেপি ছেড়ে আবার টিএমসি দ্বারস্থ হয়। কারণ শুভেন্দু অধিকারী পরিযায়ী পাখির মতন দলবদল করেছিল গাছের ডাল বদল করেছিল। 


এদিকে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর মিটিং মিছিল রেলি এই নিয়ে অনেক গসিপস ছিল। কিন্তু আজ ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী দেব বাবুকিছুটা চাপে পড়ে চিন্তায় ভ্রু কুচকালেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোন দলকে ভোট প্রচার করতে আটকাতে পারবেনা রাজ্য সরকার। এই প্রচার বন্ধকরা যাবে না টিএমসির। এখন ত্রিপুরা তে মাথায় বাজ পরলো বিপ্লব দেবের। কার্যত খুশিতে এবং আনন্দে আছেন বাংলা থেকে যাওয়া টিএমসি নেতামন্ত্রীরা। এখন সবথেকে আলোচ্য বিষয় যেটা ঠিক এভাবেই পুরভোটের আগে যেরকম বিজেপির মাথায় ত্রিপুরায় বাজ পরলো ঠিক সেভাবেই কি আগামীদিনে ভারতবর্ষের জুড়ে ডবল ইঞ্জিন সরকার টিকিয়ে রাখা মোদি সরকারের পক্ষে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে আলোচ্য। 


এদিকে বাংলায় দিলীপ ঘোষের বক্তব্য তৃণমূলে একটি পুরুষ বাকি সবাই মহিলা। তোপ দেখিয়ে লাভ নেই দীলিপবাবু নিজের দলকে বাচান আগে। না হলেভরাডুবি তে ঢুবতে হবে। বারবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দল হিসেবে টিএমসির তোয়াক্কা না দেয়া কে নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে। একে তাকে কটাক্ষনা করে দীলিপবাবু যদি দয়া করে দলের কথা ভাবুন। দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেন , মনে হয় সেটা পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে বিজেপিকে একটা ভালোজায়গায় নিয়ে যাবার সুযোগ এখনও রাখে।

                              


"আমাদের লড়াই মানুষের লড়াই ,মানুষের জন্য চলছেচলবে"

এই শ্লোগান যেদিন বিজেপি দিতে পারবেএই শ্লোগান এর হাত ধরে যেদিন বিজেপি চলতে পারবে , সেদিন আবার বাংলায় পরিবর্তন ঘটতে পারে। কিন্তুএর নাম বিজেপি , কাদা ছোড়াছুড়ি ছাড়া আর কোন কাজ নেই। বিজেপিতে যে সমস্ত নেতারা টিএমসি থেকে এসেছিল , তাদের আজ অনেকেই টিএমসি তেফিরে এসেছে। বিজেপি হয়তো এখনো বুঝল না যে পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে চিড়িয়াখানা বানানো যায় না। শরৎচন্দ্রের একটা কথা ছিলবন থেকে বাঘতুলে নিয়ে আসা যায়কোনদিন বাঘের মন থেকে বনকে ছুড়ে ফেলা যায় না"- যারা নিজের দলকে গাদ্দারি করে লোভে দল পাল্টে ফেলল , তাদের নিয়েকোনদিন আর যাই হোক রাজ্যসভায় মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য দাবী জানানো যায় না। আর যখন প্রশ্ন উঠছে নারদা নিয়ে সারদা নিয়েতখন সবনামের সাথে সাথে শুভেন্দু ,মুকুল , রাজিব সবার নাম আসছে। যদি খুব একটা ভুল না করি 2019 এর লোকসভার পর থেকে বিজেপির মুখপাত্র হিসেবেসবথেকে বড় কাজ করেছেন এই মুকুল রায়। সব্যসাচী যাওয়ার সাথে সাথে সিট পেয়ে গেল বিজেপি থেকে। রাজিব যাওয়ার সাথে সাথে সিট হয়ে গেলবিজেপির থেকে। শুভেন্দু অধিকারী যাওয়ার সাথে সাথে সিট পেয়ে গেল নন্দীগ্রামের মতন জায়গা থেকে। খেলাটা সামান্য একটু ভুল করে ফেলেছিলবিজেপি  বিজেপি এটা বুঝেনি যারা এই দলে কিছু করতে পারেনি তারা বিজেপিতে গিয়ে কি করতমুকুল রাজিব সব্যসাচী এদের হারাটা স্বাভাবিক ছিল।কারণ মানুষ পরিত্যেক্ত করেছিল বলেই এরা পিঠ বাঁচাতে বিজেপি তে গিয়েছিল  এনাদের কাছে মান সম্মানটা অতটা কিছু যায় আসেনায় তাদের কাছেভোটব্যাঙ্ক টাই বড়। কিন্তু সেই ভোটব্যাংকে  এনারা পরাজিত। মুকুল রায়কে যদি চাণক্য বলা হয় বাংলার রাজনীতিতে , তাহলে খুব একটা ভুল হয়তোহবে না। কারণ মুকুল রায়ের হাত ধরে আসা যে সমস্ত টিএমসির দলীয় কর্মীরা বিজেপিতে ঢুকে ছিল তারা একে একে আজ বিজেপি থেকে বেরিয়ে চলেগেছে। যদি এদের জায়গায় বিজেপি নিজের কোন ঘরোয়া ছেলে কেও  সিট দিতো , তাহলে কে জানে বিজেপি হয়তো সত্তরের জায়গায় আরেকটু বেশি পেত।রাজনীতির চাণক্য বলে যে মুকুল রায় বিজেপি 2019 এর লোকসভা ভোটের পর নিজের রাজনৈতিক এবং বিজেপির সাংগঠনিক মুখপাত্র বলে সামনে নিয়েআসে সেই মুকুল রায় আসলে কাজটা টিএমসির জন্যই করে দিয়ে চলে গেছে। মুকুল রায় নিয়ে আসা প্রত্যেকটি মানুষ পরাজিত হয়েছে কারণ খেলাটাএটুকুনি ছিল বিজেপি যেন নিজের কোনো ক্যান্ডিডেটদের দাঁড় করাতে না পারে ক্যান্ডিডেট সেই হবে যারা টিএমসি থেকে বিজেপিতে গেছে। আর এটাই ছিলটিএমসির সবথেকে বড় কথা "খেলা হবে"

কারণ প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি হবে না। ঘরের টা ঘরেই থেকে যাবে।বিজেপি আজ  একটা ভুল ধারনা তে সুভেন্দু কে বয়ে যাচ্ছে।এটা সামনের লোকসভার পতনেরকারণ যেন না হয়।

Post a Comment

0 Comments