NTN BHARAT: SOUMEN SINGHA
৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯, নদিয়া ডিস্ট্রিকের কুষ্টিয়া গ্রামে জন্ম হয়, সেই যতীন নামক ছেলে টি, যাকে আজ সমগ্র বঙ্গবাসী এক নামে চেনে "বাঘাযতীন" বলে ।হয়ত বা বলা যায় বেশ কয়েক লোকই জানেন যতীনের নাম বাঘাযতীন কেন পড়েছিল। যদি না জেনে থাকেন তবে একটু জানাই, ছোটবেলা থেকে যেইবালকটি দেশ প্রেম , স্বাধীনতা এবং মাত্র ভক্তির এক অন্যান্য পরিচয় দিয়ে এসেছে সেই ছিল যতীন । বয়স বাড়তে বাড়তে শাস্ত্র জ্ঞান এবং শস্ত্র জ্ঞান দুইবিষয় মহরত অর্জন করে। শারীরিক বল ক্ষমতায়ন পারদর্শী ছিল যতীন, সেটারই এক অমূল্য উদাহরণ যদি দিতে চাই ১৯০৬ সালে সামান্য একটি খুক্রিদিয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগার কে ধরাশায়ী করে সে। সেই সময় কলকাতার এক বিখ্যাত সার্জেন , কর্নেল লেট সুরেশ প্রসাদ সর্বাধিকারি যতীনের এই বীরত্বদেখে নাম দিয়েছিল "বাঘা" । হ্যাঁ তাই বৈকি বাঘা ওই নাম পাওয়ার পর থেকে যতীন এর নতুন নাম "বাঘাযতীন" পরে।
তার পেশাদার দক্ষতার জন্য যথাযথভাবে প্রশংসিত, 1907 সালে যতীনকে তিন বছরের জন্য "কিছু বিশেষ কাজে দার্জিলিং পাঠানো হয়েছিল"। "প্রাথমিক যৌবন থেকেই তিনি স্থানীয় স্যান্ডোর খ্যাতি পেয়েছিলেন এবং তিনি শীঘ্রই দার্জিলিংয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন যে ক্ষেত্রে তিনি ইউরোপীয়দের সাথেশক্তি পরিমাপ করার চেষ্টা করেছিলেন। 1908 সালে তিনি বেশ কয়েকটি গ্যাংয়ের মধ্যে একটির নেতা ছিলেন যেগুলি উত্থিত হয়েছিল। দার্জিলিং- এ, যারউদ্দেশ্য ছিল অসন্তোষ ছড়ানো, এবং তার সহযোগীদের নিয়ে তিনি অনুশীলন সমিতির একটি শাখা শুরু করেন, যাকে বলা হয় বান্ধব সমিতি। ক্যাপ্টেনমারফি এবং লেফটেন্যান্ট সোমারভিলের নেতৃত্বে ইংরেজ সামরিক অফিসারদের একটি দল, আইনি প্রক্রিয়ার দিকে পরিচালিত করে, যা ব্যাপকভাবে প্রেসদ্বারা আচ্ছাদিত হয়। একজন ভারতীয় কর্তৃক এককভাবে কয়েকজন ইংরেজের মারধরের খবরে তৈরি হওয়া আনন্দদায়ক শত্রুতা পর্যবেক্ষণ করে, হুইলারঅফিসারদের মামলা প্রত্যাহার করার পরামর্শ দেন। ভবিষ্যতে সঠিকভাবে আচরণ করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারা সতর্ক করে, যতীন দুঃখ প্রকাশ করেন যেতিনি আত্মরক্ষায় বা তার দেশবাসীর অধিকার রক্ষায় অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন না। একদিন, আনন্দময় মেজাজে, হুইলার যতীনকেজিজ্ঞাসা করলেন : "তুমি একা একা কতজনের সাথে লড়াই করতে পারবে?" তাৎক্ষণিক উত্তর ছিল: "একজনও নয়, যদি এটি সৎ লোকদের প্রশ্ন হয়; অন্যথায়, আপনি যতটা কল্পনা করতে পারেন!" মুজাফফরপুরের ঘটনা। তাই, আলিপুর বিচারের সময়, যতীন যুগান্তর পার্টি নামে পরিচিত গোপনসমাজের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং কলকাতার কেন্দ্রীয় সংগঠন এবং সমগ্র বাংলা, বিহার, ওড়িশা এবং বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা এর বিভিন্ন শাখার মধ্যেসংযোগ পুনরুজ্জীবিত করেন। কিন্তু আজ সেই বাঘা যতীনের নামে তৈরি করা বাঘাযতীন পার্ক বতর্কের সম্মুখীন, কেননা বাঘাযতীন পার্ক এখন নতুন প্রজন্মের কাছে বিজেপি(BJP) হয়ে দাঁড়িয়েছে ।আর সেই নাম টি রাজনৈতিক কটক্ষ বিষয় হয়ে গেছে..কেন না বজেপি শব্দ মানে "ভারতীয় জনতা পার্টি" ।একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসর শিলিগুড়ি প্রশাসক গৌতম বাবুরকথা অনুযায়ী বিজেপির নাম বদল করতে হবে কারণ বিজেপি মানে বাঘাযতীন পার্ক নয় "ভারতীয় জনতা পার্টি" ।
Advertisement |
অবশ্যই সেই বিজেপিতে শিলিগুড়ি প্রশাসকের বেশ কয়েকটি সাহিত্যিক অনুষ্ঠান আয়োজিত করা হয় কিন্তু সেটা রাজনীতি তে দেখে আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, ঠিক তার পরবর্তী জবাব আসলো বিজেপির মানে ভারতীয় জনতা পার্টির 2021 এ মনোনীত শংকর ঘোষ মহাশয়ের মুখ থেকে যেখানে তিনি এটা বলেন "শিলিগুড়ি প্রশাসক মন্ডলী পার্কের নাম বদল করার জায়গায় তার আশেপাশের ড্রেনেজ বা রাস্তার যানজটের দিকে যদি ধ্যান দিত সেটা বরং ভালো হতো "। শিলিগুড়ির এই পৌরাণিক "হেরিটেজ" বলাই চলে। কিন্তু বাঘাযতীন পার্ক টি আজ কাঠগড়া তে ঠিক আসামির মতো হচ্ছে। যার জীবনের ফয়সালারাজ্য আদালত না হলে কেন্দ্র আদালত করবে।যেখানে প্রতি নিয়ত বহু মানুষ BJP বলে অভ্যস্ত সেই জায়গার নাম পাল্টে না ফেলে তার development নিয়ে ভাবলে সেটা কার্যত মানুষের উপকারে লাগবে,এটাই প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে করা উচিত।কারন এলাহাবাদ আজও প্রয়াগরাজ নামে মানুষের মুখেআক্ষ্যা পায়নি।
“বন থেকে বাঘ নিয়ে যায়,বাঘের মন থেকে বন কে সরানো যায় না॥"
0 Comments
Please do not enter any spam link in comment box