NTN BHARAT - News, Facebook Log, News, Media

ধেয়ে আসছে নতুন দল :


 ধেয়ে আসছে নতুন দল :Areen Kumar Basuroychoudhury 

প্রতিদিন আমরা যে সমস্ত সংকটগুলো সম্মুখীন হচ্ছি, তার মধ্যে অন্যতম সংকট পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি এবং পণ্য দ্রব্যের  দাম বৃদ্ধি রাজ্য কে বারণ বার নিজের ভ্যাট কমানোর কথা বলতে আঙ্গুল উঠেছে কেন্দ্রের ওপর। শুধু আঙ্গুল তো  নয়, যথারীতি বদনাম হয় কেন্দ্র বারবার। কেন্দ্র থেকে এই পাইনা কেন্দ্র থেকে ওই পাইনা বারবার একই বক্তব্য আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে শোনা যায়। কেন্দ্র থেকে অনুদান আসে না তাহলে রাজকোষের টাকা রাজ্যবাসীর কাছ থেকেই ওঠে, সেই টাকায় লক্ষী ভান্ডার না চালিয়ে  পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কিছুটা রাজ্য সরকার কমাতে পারে। কারণ লক্ষী ভান্ডার এর 500 টাকা বা হাজার টাকার বিনিময়ে একজনের সংসার চলে না, তাকে কাজ করতে হয় সেই 500 টাকায় তার চালের একাংশ হয় কিনা সন্দেহ আছে । তাই রাজ্য সরকারের পেট্রোল-ডিজেলের দাম এর প্রতি উদাসীন না হয় কিছুটা ভাবা উচিত আজ রাজ্যে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিটি মানুষ । পেট্রোল-ডিজেলের দাম ,কর্মসংস্থান, গ্যাসের দাম ,বাজারের আগুন ছোঁয়া দাম এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করার জন্যই 2011 তে সিপিএম সরকারকে সরিয়ে রাজ্যে আনা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা টিএমসি দলটা । যদি আমি খুব ভুল না করি 2004 এ পণ্যদ্রব্য বৃদ্ধির জন্য তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং  তার সেই সময়ের স্লোগান ছিল "জনগন দিল ডাক,বামপন্থী নিপাত যাক","মানুষ আজ কঠিন জ্বালায়,মুল্য বৃদ্ধি ভাতের থালায়, রাজপথেতে তৃণমূল,আর করবে না মানুষ ভুল"।সে সব এখন কোথায়?আজ কিছু বিতর্ক অনেক প্রশ্ন ওঠাচ্ছে , পশ্চিমবঙ্গ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখনও কেন্দ্র কে দোষারোপ করেছে,কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জবাব কোনো দিন আসে নি,আবার আমাদের মাননীয়া এখন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলোন ঘোষণা করেছেন। 


কিন্তু সেই আন্দোলনেও কংগ্রেসকে সাহায্য করছে টিএমসি । বলাবাহুল্য এই কংগ্রেস 2021 এর বিধানসভায় বামফ্রন্টের সাথে জোট বেঁধে টিএমসির বিরোধিতা করেছে ,আবার সেই কংগ্রেসকেই সহযোগিতা করতে কেন্দ্রে পৌঁছেছেন আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী । সেখানেও মতবিরোধ সৃষ্টি রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর মতের সাথে মিল না পেয়ে বহু বিতর্কে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কংগ্রেসের বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি বিজেপি কে এগিয়ে দিচ্ছে নিজেকে সামনে নিয়ে আসার এবং প্রচারের মাধ্যমে,  সেখানে আগামী দিনে কংগ্রেসের টিকে থাকাটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে বারবার।  তবে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বিজেপিকে করা উস্কানিমূলক প্রশ্নগুলো বিজেপি কে এগিয়ে দিচ্ছে? রাজনৈতিক মহল আজ এই নিয়ে বড় চিন্তিত। যেখানে বামপন্থীদের সাথে রাজ্যে বিরোধীতা  চলে, ঠিক সেই জায়গায় বিজেপি বিরোধী হিসেবে কেন্দ্রে কংগ্রেস তৃণমূল ও বামফ্রন্টকে একসাথে দেখতে পাব আমরা 2024 এর লোকসভা ভোটে? 



বারবার এই প্রশ্ন করছে,রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা রাজনীতিতে আমরা 2021 বিধানসভার পর একের পর এক দলবদল দেখেছি , কিন্তু এবারে কি দলবদলে জায়গায় নতুন দল চোখের সামনে দেখতে পাবো এই প্রশ্ন বারবার উঠছে মানুষের মনে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দলের সৃষ্টি করবেন নাকি পুরনো ইউপিএ দল নতুন রূপে সামনে আসবে সে উত্তর তো দেবে সময় কিন্তু আমরা আজও জানি না আগামী দিনে ত্রিপুরা কি হতে চলেছে , যেখানে বিজেপি'র সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মানিক সরকারের বামপন্থী দল , ঠিক সেই  জায়গায় টিএমসির ভূমিকা কি থাকবে তা কেউ জানে না।  আগামী দিনে উত্তর প্রদেশ ,গোয়া, বিহার এই সমস্ত জায়গায় টিএমসি কি অবস্থান পাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার । ঘরের মেয়ে ঘরে ছিল / বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়, কিন্তু বাইরে কি সেটাও ঘটবে? যদি খাটে তাহলে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । আগামী দিনে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী আসনের প্রমুখ , কিন্তু ঠিক তার উল্টো দিকে টিএমসির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  ভারত বর্ষ কি চায়? আগামী 2024 ভারতবর্ষের মাটিতে প্রথম বাঙালি মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৃষ্টান্ত দেখতে পাবে ? নাকি কালের নিয়মে সেটা গান্ধী পরিবারের হাতের মুঠোয় থেকে যাবে?  প্রশ্ন অনেক আছে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে,  আর সবাইকে উত্তর দেবে ভারতের জনগণ। তবে জনগণের উপরে শেষ হাসি কে হাসবে সেটাই দেখার । গতানুগতিকভাবে গান্ধী পরিবারের নেতৃত্বে কি চলবে এই দেশ আবার নাকি নতুন কোন কিছুর বা নতুন কোন দলের সৃষ্টি দেখবে ভারতবাসী , চোখ রাখতে হবে 2024 এর লোকসভা দিকে।

রাজনীতিতে দল বা দলের নেতা এই পরিবর্তন মানুষ বারবার দেখেছে, বলাবাহুল্য আজ নতুন দল সৃষ্টি হতে চলেছে । মতবিরোধের শেষ থাকছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধীর মতের অমিল নিয়ে, sympathetic vote bank বারবার কংগ্রেসের  নিজের নামের আগে থাকে , তাহলে কি আগামী দিনের ইউপিএ, এনডিএ আরো এক নতুন দল দেখতে পাবে? মমতা ব্যানার্জির তৈরি করা কোন এক নতুন কেন্দ্রীয় দল? যদি তাই দেখতে পায় ভারতবাসী তবে কি নাম হবে সে দলের ? নেতৃত্বে কি একলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন? যদি তাই থাকেন , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরের মুখে কে থাকবে? আমরা ছোটবেলা থেকে ইউ পি এ ,এন ডি এ শুনে বড় হয়েছি এখন একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে পাব কিছু নতুন নতুন মুখ, নতুন দল , নতুন চিন্তাধারা ? কি থাকবে সে চিন্তা ধারার মধ্যে আরো ডেভলপমেন্ট পাবেকি? ভারতের সেনা দল আরও শক্তিশালী  হবে? নতুন আরো এক্সপ্রেসওয়ে হবে ভারতে?  ফ্রী কথাটা উঠে তৈরি হবে কর্মসংস্থান ? পেট্রোল ডিজেল পণ্যদ্রব্য এসবের দাম কোথায় পৌঁছাবে?  নাকি এসব এর পরিবর্তে অন্য কিছু পাব ? আজ নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং গরিবের সংখ্যা ভারতবর্ষে নজিরবিহীন । তারা কতটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নেবে ? নতুন দলের নতুন প্রকল্প শুরু দেখতে কতদিন টাইম লাগবে? ইনকাম ট্যাক্স ,সেল ট্যাক্স, এক্সাইজ টেক্স বাড়বে না কমবে? ট্রাইবেল দের জন্য, মুসলিমদের জন্য এবং প্রতিটি রাজ্যে বসবাসকারী দলিত সম্প্রদায়ের জন্য সেই কেন্দ্রীয় দলের কি পরিকল্পনা থাকবে?  কেন্দ্রীয় দল হিসেবে এবং দলনেত্রী হিসেবে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের প্রধান আসনে বসেন তবে কি কন্যাশ্রী, যুবশ্রী , সবুজ সাথী সমস্ত প্রকল্প কেন্দ্রীয় প্রকল্প হয়ে দাঁড়াবে? প্রশ্নের অবসান নেই , প্রতিশ্রুতির অপেক্ষায় ভারত বর্ষ । এই অপেক্ষা 2024 অব্দি থাকবে দেখা যাক যদি শেষ হাসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসেন তাহলে 2024 এর পর ভারতবাসী কতটা হাসবে?

Post a Comment

0 Comments