প্রশ্নের উত্তর খেলা হবে:
Written by :- SOUMEN SINGHA :https://www.facebook.com/northerntimesnew/
বারবার তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে বাবুল সুপ্রিয় কে। ত্রিপুরাতে ভোট পর্ব প্রচারে যখন সায়নী ঘোষের সাথে একই মঞ্চে বাবুল সুপ্রিয় ছিলেন ঠিক সেইসময় বিজেপির একটি রেলি ভ্যান বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া গান বাজাতে বাজাতে চলে আসলেন সামনে।
" এই তৃণমূল আর নয় আর নয়"
দলে গাদ্দারদের জায়গা নেই, এ কথা বারবার মমতা ব্যানার্জি নিজের মুখে বললেও রাজিব সব্যসাচী মুকুল রায়কে দলে ফেরানোর পর এই উক্তি অযৌক্তিক বলে মনে হয়। বাবুল সুপ্রিয়র হঠাৎ পরিবর্তন সবার কাছে প্রশ্ন ছিল। বিজেপি তে এমন কি ঘটলো যে বাবুল সুপ্রিয় এমপি পদ ছেড়ে টিএমসির পেছনের সিটে বসার জন্য রাজি হয়ে গেলেন। বাবুল সুপ্রিয় ছাড়ার পরে বহুবার বলেছেন কয়লা কাণ্ডে জড়িত বিজেপি নেতারা আসানসোলে কল মাফিয়ার কাজ করে। কিন্তু যতটুকু সবার জানা আছে আসানসোলের বিজেপির সবথেকে বড় মাথা বাবুল সুপ্রিয় নিজে ছিলেন। বিজেপিতে থাকাকালীন এই অরাজকতার বিরুদ্ধে বাবুল সুপ্রিয় কোনদিন মুখ খোলেননি হঠাৎ করে টিএমসি তে এসে তিনি এতটা সৎ হয়ে উঠলেন যে তিনি এখন মুখ খুললেন কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। রুচিবোধ যদি দেখাতেই হত তাহলে তা বিজেপিতে থাকাকালীন দেখানো যেত। এরকম বহু সমস্যার সম্মুখীন আজ বাবুল সুপ্রিয়। যখন এই প্রশ্নগুলো বারবার উঠছে ঠিক তখনই দল পরিবর্তন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে টিএমসি মঞ্চে বাবুল সুপ্রিয়। সারোদা নারোদা থেকে পিঠ বাঁচাতে যেমন দল পরিবর্তন হয়েছিল টিএমসি থেকে বিজেপি তে ঠিক সেই দৃষ্টান্তই কি বাংলা আবার দেখছে? কয়লা কাণ্ড নিয়ে সরব হওয়ার পর পিঠ বাঁচাতে দল পরিবর্তন?
" বাংলা ছাড়ো তৃণমূল" এই শ্লোগান দিয়েই শুরু হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়র আসানসোল রেলি। তারপর কেটে গেছে তিন বছর। ভুলে যাওয়া গানকে আবার সামনে নিয়ে আসলো বিজেপি ত্রিপুরাতে বাবুল সুপ্রিয় টিএমসির সভায়। বিরক্ত হয়ে বাবুল বললেন," যেই গান বেধেছে সে সেই দলেরই হয়ে প্রচার করতে বেরিয়েছে কতটা ক্ষমতা থাকলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়", এটা সিদ্ধান্ত না পিঠ বাঁচানোর জন্য মানুষ অনেক কিছুই করে। বাবুল সুপ্রিয়র মতন এখন বহু মানুষই মনে করছে বিজিবিতে থাকাটা বেমানান হয়ে গেছে। কারণ বিজেপি এমএলএ আস্তে আস্তে কমছে এবং তারা গিয়ে যোগ দিচ্ছে টিএমসি তে। তাই টিএমসি তে থাকাটাই ভালো। আমরা ছোটবেলায় কিছু কথা বারবার বড়দের কাছ থেকে শুনেছি জেনেছি তার মধ্যে একটা কথা না বললেই নয়।
" দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো"
বিজেপির 2021 এর ভোটের আগে যে ভুলগুলো বারবার করে এসেছে এখন সময় সে ভুলগুলোকে শুধরে নেওয়ার। হয়তো এই শোধরানোর পরে বিজেপি শক্ত হয়ে উঠে দাঁড়াতে পারবে। কিন্তু এটা পশ্চিমবঙ্গ এখানে বাংলা ভাষাটা প্রধান। বাঙালি মানসিকতাটা প্রধান। তাই অবাঙালি প্রার্থীর থেকে বাংলার পাড়ার ছেলে মেয়েরা যদি বিজেপিতে এগিয়ে আসে তবে হয়ত বিজেপি শক্ত হবার জায়গা কিছুটা পাবে। তথাগত রায় এবং দিলীপ ঘোষের বিতর্ক এখন তুঙ্গে। এদিকে সৌমিত্র খাও বেসুরো গলায় অনেক কথা বলছে তাহলে কি এবার নিজের স্ত্রীর পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন সৌমিত্র খাঁ? সৌমিত্র খাঁ এর বক্তব্য অনুযায়ী আগামী লোকসভা তে নন্দীগ্রাম শুভেন্দুর ঘর থেকে তিনটি আসন ও বিজেপি পাবে নাকি সন্দেহ আছে। কেন এই মন্তব্য আর কেনই বা শুভেন্দুকে নিয়ে বারবার কবুক লাগছে বিজেপি রাজ্য কমিটি তার প্রশ্নের। তবে কী বাবুলের মুখ থেকে এরপর এর আওয়াজ শোনা যাবে এই বিজেপি আর নয় আর নয়? পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপি এখন দুটো দলে বিভক্ত। একদিকে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী, তথাগত রায়। আরেকদিকে দিলীপ ঘোষ সুকান্ত মজুমদার এনারা। লাঠির গুচ্ছ থেকে এখন একটি একটি লাঠি আলাদা হয়ে গেছে যা বিজেপিকে ক্ষমতাহীন করে তুলছে বারবার। আর এই জন্যই পিছিয়ে পড়ছে বঙ্গ বিজেপির নেতারা।ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে এক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে সৌমিত্র খাঁকে। কথোপকথনে দাবি করা হয়েছে,''পরেরবার লোকসভার রেজাল্ট ৩ আর ৩৯ হয়ে যাবে। আমরা ৩টি আসন পাব। আর ওরা ৩৯টি। যেভাবে চলছে, কট্টর বিরোধী লোককে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে দিয়েছে।'' শুধু তাই নয় শান্তনু ছাড়া রাজ্যের বাকি তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কাজের নয় বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপি সাংসদের কণ্ঠস্বরে। বলা হয়েছে,''যে চার মন্ত্রী হল, শান্তনু ঠাকুর বাদ দিয়ে তিন মন্ত্রীই অচল। কোনও কাজে লাগবে না।'
বিজেপির বিরুদ্ধে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ করে বিরোধীরা। তা শোনা গেল সৌমিত্রর কণ্ঠস্বরে। শোনা যাচ্ছে,''বাংলার রাজনীতিতে হিন্দুদের মধ্যেও ভাগ করে দিচ্ছে। এভাবে হয় নাকি! রাজবংশী, আদিবাসী, হাবিজাবি করছে। তোমার যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছে তাঁরা সারাজীবন রাস্তায় থাকবে। এটা হয় বাংলায়?''
ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। ফোনে তিনি বলেন,''যে অডিয়ো ক্লিপের বাস্তব ভিত্তি নেই কেন প্রতিক্রিয়া দেব? এটা ভুয়ো। বহু লোক বলেছিল ২০১৯ সালে বিজেপি ফিনিশ। ৪২-এ ৪২। ফলাফল দেখেছেন। আগামী নির্বাচনে ৩৫টি আসনে জিতবে বিজেপি।''
" বাংলা ছাড়ো তৃণমূল"
যাদের মুখে বারবার এই শ্লোগান হওয়া গেছে তারাই আজ সুন্দরভাবে কথা বলে যাচ্ছে তৃণমূলের হয়ে। কারণটা কি? বাংলা অস্তিত্বহীন সিপিএম আজ। বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি কিছু করতে পারছে না। তবে আগামী দিন বাংলা কি একনায়কতন্ত্র দেখতে থাকবে? যদি দেখেও তবে আগামী দিনে বিরোধী দল হিসেবে সামনে আসার দল কি হবে? লাগছে কোথায় কিভাবে বিজেপি ঠাঁই পাবে সেই নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে।
কি কথার উত্তর দেবে হয়তো আগামী দিন।
Sponsored by :https://www.facebook.com/CREATION-POINT-1672083949684204/
https://www.facebook.com/durongply/
0 Comments
Please do not enter any spam link in comment box