NTN BHARAT - News, Facebook Log, News, Media

আর করো না বাড়াবাড়ি তোমার নাম শুভেন্দু অধিকারী: Areen Kumar Basuroychoudhury

 আর করো না বাড়াবাড়ি তোমার নাম শুভেন্দু অধিকারী: Areen Kumar Basuroychoudhury


এই অশুভ নামটা টিএমসি থেকে চলে যাবার পর এখন বিজেপির কাছে অসভ্য হয়ে উঠেছে। 2021 পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতিতে বারবার একটি গান মনে করিয়ে দেয়,
              "তু কেনে কাদা দিলি সাদা কাপড়ে"
বিজেপি পশ্চিমবাংলায় এমন একটি দল,যারা  শেষ কয়েকটা ভুল সিদ্ধান্তে আজ কাদা ছোড়াছুড়ির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ভুল গুলোর মধ্যে এক অন্যতম নাম পশ্চিম মেদিনীপুরের শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজেকে যতই সৎ বলুন না কেন আসলে পশ্চিমবঙ্গবাসী তার পুরনো দল টিএমসি মুখপাত্রের মুখ থেকে শুনে নিয়েছে তার সততার দৃষ্টান্ত। গতকাল নন্দীগ্রাম ভূমি আন্দোলন শহীদদের শহীদ বেদীতে মাল্যদান করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সে বেদীতে এমন কি ছিল যে মালা গঙ্গা জলে ধুতে হলো? শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য টিএমসি নাকি শহীদ বেদী কে অপবিত্র করে তুলেছে, এই অপবিত্রতা ধুতে নাকি গঙ্গাজল ব্যবহৃত হলো ফুলের মালা। বারবার অকথ্য ভাষা অযাচিত ব্যবহার কাদা ছোড়াছুড়ি এগুলো পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে মহলকে নোংরা করে তুলেছে। একদিকে তথাগত রায় একদিকে দিলীপ ঘোষ অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী রাজনীতিকে একটা অকথ্য ভাষার স্কুল তৈরি করে রেখেছে। আজ রাজনৈতিক মহল নোংরা থেকে নোংরা ভাষা ব্যবহার করে মঞ্চে। নিজে কে অশিক্ষিত প্রমাণ করতে ব্যস্ত বিজেপি নেতারা এখন। ধিক্কার জানাই তুই অশিক্ষিত নেতাদের মুখের ভাষাকে।

35 বছর বামফ্রন্ট সরকার রাজত্ব করেছে পশ্চিমবঙ্গের বুকে আবার ঠিক সেই সময় গুলিতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বিরোধী দলনেত্রী। কিন্তু বিরোধী দল হিসেবে টিএমসি নেতাদের মুখে বা টিএমসি দলনেত্রীর মুখে বিরোধী থাকার সময় কখনও কোন নোংরা ভাষা আশা করাই যায় নি, কিন্তু আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেউ ভাষা খারাপ করতে হচ্ছে তার কারণ বিজেপি নেতাদের ব্যবহারে। লোকে বলে মানুষের ব্যবহার মানুষের ভদ্রতার পরিচয় দেয়, ব্যবহার ভালো করতে পয়সা খরচা হয় না, তাই বিজেপি নেতাদের এখন ব্যবহার ভালো করাটা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। বারবার অকথ্য ভাষায় নিজের লোকেদের গালিগালাজ এবং কাদা ছোড়াছুড়ি তে ব্যস্ত বিজেপি দল নেতারা নিজেদের পরিচয় নিজেরা দিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গবাসীর টিভি খোলার পর হয়তো এটা প্রাপ্য ছিল না কোন দিনের।
দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দলের অভ্যন্তরীণ সমালোচনা আর এটুকু পশ্চিমবঙ্গবাসীর সামনে প্রমাণ করে দিচ্ছে বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির না যোগ্যতা ছিল না আছে, আগামী দিনে পরিবর্তন না করলে এই স্বভাব বিজেপি দল হিসেবে বিরোধী বলে মানবেনা পশ্চিমবঙ্গবাসী। মানুষের জন্য আন্দোলন করতে হবে বিজেপিকে কিন্তু আন্দোলনটা বিরোধী হিসেবে করলে ভালো হয় নিজের দলের বিরুদ্ধে নিজেরাই চিল্লামিল্লি করছে সেটা আন্দোলনের কোনো ভাগ নয়। সামনে পুর ভোট, কিন্তু এই পুরভোটে দিলীপ সুকান্ত শুভেন্দু নিজেদের পদের দাম্ভিকতা দেখাতে ব্যস্ত। আজ বিজেপির ডাকে চায়ের দোকানে আড্ডা দেওয়া কাকুদের মতন লাগে, যারা খবরের কাগজ হাতে নিয়ে শুধু সমালোচনা করতে পারে তারপর বাড়ি গিয়ে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া ছাড়া তাদের কোনো কাজ নেই। বিজেপি দলের এই মানসিকতা যদি না পাল্টাও তাহলে বিজেপি দল বিরোধী দলের প্রধান মুখ হিসেবে কোনদিন পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে নিজের জায়গা বানাতে পারবে না। বারংবার মানুষের সামনে নিজের কমজোরি প্রমাণ করে দেয় এই দল। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভুলবশত 77 টি আসনে বিজেপি-কে জয় করেছিলেন কিন্তু হয়তো আজকের পরিস্থিতি দেখলে 77 এর সাত থাকতো কিনা সন্দেহ আছে? লড়াই করতে হবে বিজেপিকে নইলে কালের নিয়মে মিলিয়ে যেতে হবে সিপিএমের মতো। মানুষ অশিক্ষিত নয়।



Post a Comment

0 Comments