57 তে পৌরুষত্ব:
Written by :- SOUMEN SINGHA :
বারবার সামনে আসা রাজপথের প্রেম শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী। পুজোর সময় কখনো মন্ডপে কখনো ভিক্টোরিয়ার সামনে কখনো ফুচকা খেতে কখনো বা ঘোড়ার গাড়িতে। চলেছে শোভন-বৈশাখী নিয়ে নানা বিতর্ক। নেটিজেনরা অনেক মন্তব্য করেছেন এই নিয়ে এদিকে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় স্ত্রী রত্না বলছেন, দেশে আইন এখনো মরে যাইনি, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সময়ের অভাব শুধু। এদিকে গতকাল আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস ছিল। শ্রেষ্ঠ পুরুষ হিসাবে আখ্যা পেলেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বৈশাখীর কাছ থেকে। পাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। এই বয়সে যখন মানুষ তীর্থভ্রমণের কথা ভাবে, এই বয়সেই শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় নারী আসক্তিতে ভুগছেন। যে বয়সে মানুষ নাতি নিয়ে খেলার কথা ভাবেন, সেই বয়সে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় ছেলে নিয়ে খেলার কথা ভাবছেন। আজ ও আগামী দিনে কি হবে কেউ জানে না, শুধু একটাই জিনিস সামনে আসছে এই প্রেমের প্রতিদান হিসাবে আর কি কি বঙ্গবাসীর দেখা বাকি। রবীন্দ্রনাথের গানের লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে " তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম"
এদিকে বারবার মিডিয়া মাধ্যমে সামনে রত্নার বক্তব্য দশমীতে সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দিলেই বিবাহ হয়ে যায় না। শোভন স্ত্রী রত্নার কথা অনুযায়ী তিনি এখনও শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় স্ত্রী রয়েছেন। রাজনীতিতে এক অন্যতম নাম হিসেবে পরিচিত ছিল শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় নামটা। আজ তা রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে প্রেম নীতিতে পরিণত। একজন আরেকজনকে সুন্দরী বলে ডাকে আবার অন্যজন বলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পুরুষের আখ্যা দিলাম শোভন কে।
" কি বিচিত্র দেশ, হে সেলুকাস"
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অমর প্রেম বইটি দেখেছি আমরা সবাই। এখন স্বচক্ষে তার দৃষ্টান্ত দেখতে পাচ্ছি শোভন চট্টোপাধ্যায় বৈশাখী জন্য। হঠাৎ করে একজন গিয়ে বলছেন "তুমি আমার আশা, আমি তোমার ভালোবাসা"। কি জ্বালায় না জ্বলছে বঙ্গবাসী। রাজপথে বহু কিছুই আমরা বহুবার দেখতে পেয়েছি যেমন মেট্রোতে চুমু অপরাধে মার খেতে হয়েছে যুবক-যুবতীকে, ভিক্টোরিয়া থেকে পুলিশের তাড়া খেয়ে বেরিয়ে আসে অনেকে, কিন্তু এই বুড়ো ভাম টা যেভাবে চুটিয়ে প্রেম করছে তা বঙ্গবাসীর কাছে লজ্জার আর গর্বের। অপেক্ষা শুধু একটা জিনিস দেখার, শোভন পুত্র ঋষি নিজের সন্তানের জায়গায় বাবার সন্তানের অন্নপ্রাশন না খেতে যান? আলোচ্য বিষয় নতুন সংসার শুরু হয়ে গেছে কিন্তু চট্টোপাধ্যায় পরিবারের উত্তরাধিকার পাবে কে? শোভন রত্নার ছেলে ঋষি নাকি শোভন বৈশাখী সম্পর্কের পরিণতি?
ঋষি বোধহয় এই ভয় পেয়ে বারবার বলছে সামাজিক ভাবে এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত। কে করবে প্রতিবাদ কার থেকে পড়েছে?
" যার বাবা তার হুঁশ নেই পাড়া-পড়শির ঘুম নেই"
প্রেম চলছে চলতে দাও এই বক্তব্য আজ পশ্চিমবঙ্গবাসীর মুখে। লোকে গল্প করে একটু রসদ পাচ্ছে চায়ের দোকানের আড্ডার জন্য। এইকম কি? কিন্তু শোভন পুত্র ঋষি বড্ড চিন্তায়। চিন্তার কারণ একটাই
" শালা মেতো সাব বানগায়া"
কি জালা কি জালা? যে বয়সে বাবা হওয়ার কথা ভাবা উচিত সবার সেই বয়সে নিশি চিন্তায় দাদা হয়ে যাবে। আমি একটা জিনিস বুঝলাম না, 57 বছর বয়সে কি এমন পৌরষত্ব উনি দেখালেন বৈশাখীকে যে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পুরুষ বলে আখ্যা পেয়ে গেলেন বৈশাখীর কাছ থেকে? ছত্রিশ বছরের এই রমণী 57 বছরের পৌরুষত্বে মজেছেন। এখানে একটি গানের লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে,
" আইলারে নয়া দামান আসমানের অতিলা"
এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন একটাই সামনে আসছে পশ্চিমবঙ্গবাসীর মুখে, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরাধিকারিত্ব যাবে কার হাতে? তবে কি আগামী দিনে জাঁকজমক করে অন্নপ্রাশন দেখতে পাবো বেহালায়? নাকি তার আগেই অবসান ঘটবে ন্যাকামির?
" বঙ্গবাসী বঙ্গবাসী দেখো তুমি এসে
শোভন-বৈশাখী চলে গেছে ভিন্ন এক দেশে
কঠিন সময় পেরিয়ে এসে ছেলে হলো শেষে
রত্না ঋষি কোথায় গেল গঙ্গা জলে ভেসে?"
0 Comments
Please do not enter any spam link in comment box