অর্ধ নগ্নতা প্রদর্শনী আওয়ার্ড 2021 : Areen Kumar Basuroychoudhury
বয়স যাই হোক না কেন, আমরা এখনও ছেলেদের ক্রাশ । ক্যামেরার পর্দায় নগ্নতা প্রদর্শন একসময় শুধু হলিউডে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে কালের নিয়মে আজ এই দশকে বঙ্গ নারী পিছিয়ে নেই। "চুমু" না থাকলে ভালোবাসার গল্প প্রমাণ করতে পারেন না পরিচালকরা।ঠিক সে ভাবেই শরীরের বিভিন্ন অংশ না দেখালে এখন BOX OFFICE হিট করে না।এই দলে নাম লিখিয়েছেন কিছু বঙ্গ নারী।প্রদর্শনী AWARD -এ জয়ী নাম গুলো আমাদের আলোচনার বিষয়।
Bold Scene পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়েছেন বলিউড। ইদানিং Tollywood পিছিয়ে নেই।
স্বস্তিকা, শ্রীলেখা মিত্র, ঋ সেনের মতো অভিনেত্রীরা আজ চরিত্রের প্রয়োজনে পর্দার সামনে নিজেদের শাড়ির আঁচল সড়াতে সংকোচ বোধ করেন না।কেনই বা করবে?পর্দায় তো আর কেউ হামলা করবে না?ঔধত্ব বেড়েছে তাই।আর এই ঔধত্ব আজ বাঁধ ভেঙেছে বঙ্গ নারীর স্বাভাবিক জীবনে। Page 3 এক রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের মতো,একটা দেখতে দেখতে আবার চলে এলো পাখির ঝাকের মতো।ভালবাসা শব্দটা ব্যবহার করতে হয় পরানের গহীন অরণ্যে। শূন্য সবকিছু মিলিয়ে ভাল লাগে বলুন, শরীর টা।
Swastika Mukherjee,নাম টা সবার জানা,হ্যাঁ হ্যাঁ , জন্মভূমি সিরিয়ালের সন্তু দার মেয়ে,দিন যত কেটেছে টলিউডের এই প্রানবন্ত যুবতী নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বেড়েছে বৈকি।
সোশ্যাল মিডিয়াতে তার পোশাক নিয়ে জোর কদমে আলোচনা চলে।
চল্লিশ বছর পর এই স্বস্তিকার বিকিনি ফটোশুট সোশ্যাল মিডিয়ার উষ্ণতার শেষ সীমান্ত থেকে উঁকি মেরেছে বারবার। তবে ‘আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ডস’ ছবিতে প্রথমবার বিকিনি তে দর্শন দেন,এবং উত্তেজনা শীর্ষ নিউজ মিডিয়া তে আসেন।যার বাবা জন্মভূমি সিরিয়ালে মোক্ষম চরিত্র তার মেয়ে আজ উত্তেজনার মোক্ষম রসদ বাংলা চলচ্চিত্রে।
Rituparna Sengupta ,‘তৃষ্ণা’ ছবিতে তার প্রথম লুক দেখে তৎকালীন সময়ে অবাক হয়েছিলেন নেটিজেন জগৎ। যদিও 32-26-32 চেহারায় বিকিনি পরা নিয়ে জোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে । তবে কালের নিয়মে উত্তেজনা শীর্ষ হয়েছিল সবার সামনে। সেই ঋতুপর্ণা আবার কিছু ভালো চলচ্চিত্র বাংলা সামনে নিয়ে এসেছে। দিন যত এগিয়েছে আচল সরাতে অতটা অসুবিধা হয়নি হয়তো, কিন্তু এতে বক্স অফিস হিট ভালোই বেড়েছে। এক কথায় বলা গেলে
"আমাকে আমার মতন থাকতে দাও আমি নিজের শাড়ি নিজে সামলাতে শিখেছি"
Rupa Ganguly নামটা আজ রাজনৈতিক মহলের বিতরকের শীর্ষের নাম। অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোতে তাকে বহুবার দেখা গেছে চলচ্চিত্রের পর্দায় শুরুটা ছিল দ্রৌপদী চরিত্র থেকে। বারবার বাংলার যুবসমাজকে বোর্ড স্ক্রীন থেকে উত্তেজনার শীর্ষে নিয়ে গেছেন রুপা। কেরিয়ারের শুরুর দিকে মহাভারতের দ্রৌপদীকে তাকে প্রথম মানুষ চেনে তারপর ‘অন্তরমহল’, ‘মহুলবনীর সেরেং’, ‘শূন্য এ বুকে’ একাধিক বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ঋতুস্রাব থেকে শুরু করে যৌন দৃশ্য, বিভিন্ন যৌন দৃশ্য সামনে নিয়ে আসেন বড় পর্দায় এবং নিজেকে চিরাচরিতভাবে সমালোচনার প্রমূখ মুখ করে রেখেছিলেন মিডিয়া জগতে।
ঋ সেন, ইনিও কম যান না, "গান্ডু" ছবিতে নিজেকে যে চরিত্রে টলিউড অভিনেত্রী দেখিয়েছেন তা স্বাভাবিকভাবেই বাংলার যুব সমাজ এবং কটু কথা "বৌদি বাজি" চরম দৃষ্টান্ত।
‘কসমিক সে;ক্স’ ছবিতে অভিনয় করার আগে অব্দি তাকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হতো না, ঠিক এই ছবিতে অভিনয় করার পর থেকে তাকে বাংলার সন্তান রা এবং বাংলা যুবসমাজেরা সেক্স বোমের আখ্যা দিয়েছে। গান্ডু লুডো 20 এরকম বহু ছবিতে অভিনেত্রীকে অনেক বোর্ড চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে। যৌনতা' থেকে সম্মোহন পর্যন্ত সবকিছুতে এনার জুরি মেলা দায়।
সব নামের মাঝে সবথেকে বড় বিতর্কিত নাম ভুললে চলবেনা তিনি আমাদের সবার প্রিয় শ্রীলেখা মিত্র । বারবার তার চারিত্রিক এবং ব্লাউজের ডিজাইন নিয়ে কথা উঠেছে 50 বছরেও তার যৌবনের শেষ নেই বলা চলে । বাঙালির বহু ছেলের ক্রাশের জায়গা এখনও তিনি দখল করে রেখেছেন । অন্ধ প্রেমিকা বহু পাওয়া যাবে পশ্চিমবাংলায় খুঁজলে । শ্রীলেখাও ‘উড়ো চিঠি’, ‘আশ্চর্য প্রদীপ’, ‘হ্যালো কলকাতা’, ‘কাঁটাতার’ এর মতো একাধিক ছবিতে নিজের শরীর প্রদর্শন করেছেন এবং সাথে সাথে বাঙালির নেটিজেনদের ও মিডিয়া মাধ্যমের রসদ হয়ে উঠেছেন।
আজ বাঙালি সমাজ ঔদ্ধত্য মানে যেটা বোঝে, সেটা শুরু টলিউড থেকেও কিছুটা হয়, কিন্তু সব খারাপের মধ্যেও ভালো জিনিসটাকে খুঁজে বার করা, কেউ করে না ,তাদের নগ্নতা দেখার জন্যই হয়তো সবাই উদগ্রীব হয়ে থাকে। বড় পর্দা আর পাড়ার রাস্তা দুটোর মধ্যে তফাতটা যদি নিজেরা খুঁজে না বার করতে পারি, তবে বঙ্গনারী, তুমি ছাড়বে শাড়ি, করবে বাড়াবাড়ি। এই ভাবেই চলবে বাঙালির সভ্য সমাজ অসভ্যতার ঔদ্ধেত্য।
0 Comments
Please do not enter any spam link in comment box